জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী। বুধবার (২১ মে) দুপুর ১২টায় ইসির সামনের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি এ কথা জানান।
ইসি পুনর্গ ঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে সকাল থেকে জড়ো হন এনসিপির নেতাকর্মীরা। তারা দুই ঘণ্টা সেখানে অবস্থান নেন।
বর্তমান কমিশন ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিযোগ করে নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, বর্তমান ইসি যদি পুনর্গঠন না করা হয়, তাদের অধীনে এনসিপি নির্বাচনে অংশ নেবে না।
‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন অবৈধ ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার প্রণীত “প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২২” অনুযায়ী গঠিত, যা সে সময় ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষ প্রত্যাখ্যান করেছিল। বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য যখন সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছিল, আমরা সে সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিদ্যমান আইনের বিরোধিতা করেছিলাম,’ বলেন তিনি।
নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী আরও বলেন, গত কয়েকটি নির্বাচনে যারা ভোট ডাকাতি করেছে, তারা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। আমাদের এনসিপির দাবি, নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। কারণ আমরা দেখছি, নির্বাচন কমিশন একটি নির্দিষ্ট দলের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে। এ নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
‘আমরা চাই ইসি পুনর্গঠন করে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। গত ১৬ বছর মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল যারা, তাদের নির্বাচন কমিশনে রেখে কোনোভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। যারা স্বৈরাচারের সময় ভোট ডাকাতিতে সহযোগিতা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বিএনপির উদ্দেশ্যে এনসিপির এই নেতা বলেন, আপনারা ৩১ দফা দিয়েছিলেন। আপনারা বলেছিলেন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন করবেন। কিন্তু আপনারা যখন প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজের দলের লোক পেয়ে গেলেন, তখন সংস্কারের কথা ভুলে গেলেন। নির্বাচন কমিশন এখন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছে।
‘বিএনপির সালাউদ্দিন সাহেবরা মুজিববাদী সংবিধান টিকিয়ে রাখতে চান। তারা ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশকে ভারতের হাতে তুলে দিতে চান,’ যোগ করেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এমএনএস